কক্সবাজার বেড়াতে গিয়ে স্ত্রীর মারধরের শিকার হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় আরজে কিবরিয়া। বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি এই জিডি করেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, গোলাম কিবরিয়া ওরফে আরজে কিবরিয়া স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসে পর্যটন এলাকার হোটেল সাইমনের ১০২ নম্বর কক্ষে উঠেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আরজে কিবরিয়ার স্ত্রী রাফিয়া লোরা সন্তানকে মারধর করেন। আরজে কিবরিয়া বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করেন তার স্ত্রী। পরে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে আরজে কিবরিয়া বাদী হয়ে তার স্ত্রী রাফিয়া লোরার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন।
এদিকে এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ১২ মিনিটে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন আরজে কিবরিয়া।
তিনি লেখেন, ‘প্রিয় পরিচিত জন।
আমার জ্ঞানত আমি কোনোদিন আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা-সমালোচনা হয় এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলিনি। আমি বলতেও চাইনা, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার স্ত্রী। আমি কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়ার নেগেটিভিটি ফেস করা মানুষ। আমি জানি একটা সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে অনলাইনে ছাড়া যায়। ঘটনা পুরাই উল্টে দেওয়া যায়। কাউকে নিয়ে পাবলিকলি বাজে কথা বলার আমি পক্ষে না। আমি জানি আমার চির শত্রু বলে যদি কেউ থেকে থেকে তো সে প্রথম এবং একমাত্র টার্গেট করবে আমার চরিত্র এবং পাবলিক ইমেজ। আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র ভয় পাইনা। আমি ক্ষমা করতে ভালোবাসি। আমার সন্তানদের ক্ষতি যেমন আমি কোনোদিন মেনে নেব না, ঠিক একইভাবে আপনাদের এই ভুলভাল নিউজ তাদের ফিউচারের জন্য কোনো ক্ষতি হোক সেটাও আমি চাই না। প্লিজ। আমি আমার কাছে সৎ এবং কারো প্রতি কোনো অন্যায় করিনি। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা আস্থা রাখুন। দোয়া করবেন।‘
আরজে কিবরিয়ার পুরো নাম মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। টানা ১৬ বছর রেডিওতে কাজ করেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে।
শুরুর দিকে ২০০৬ সালে রেডিও টুডেতে ‘কথা বন্ধু’ এপিসোডে কাজ শুরু করেন। এরপর একে একে জীবনের গল্প, সিক্রেটস, হ্যালো ৮৯২০, যাহা বলিব সত্য বলিব, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডসহ বেশ কয়েকটি জীবনধর্মী অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করেছেন। শুদ্ধ ও সাবলীল বাচনভঙ্গি, জীবনঘনিষ্ঠ অনুষ্ঠান হওয়া আর চমৎকার উপস্থাপনের কারণে অল্প সময়েই প্রতিটি অনুষ্ঠানই শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে।
Leave a Reply