ডেস্ক রিপোর্ট:-
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পিকারের সাক্ষাৎ চাওয়া হয়েছে। স্পিকারের সাক্ষাৎ চেয়ে রবিবার (২২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এ সপ্তাহের মধ্যেই স্পিকারের সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, তার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আজ সংসদ সচিবালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই সাক্ষাৎ হওয়ার সম্ভাবনার কথাও বাংলা ট্রিবিউনকে জানান স্পিকার।
জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য সংসদের অধিবেশন বাড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ৯ ফেব্রুয়ারিই শেষ হবে এই অধিবেশন।
এ প্রসঙ্গে আইনের উদ্বৃতি দিয়ে স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য কোনও অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে না। সংসদের একটি বৈঠকের প্রয়োজন পড়েবে।
তিনি বলেন, তার (স্পিকার) সঙ্গে সিইসির সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিস্তারিত সিডিউল নিয়ে আলোচনা হবে। যেদিন ভোটের তারিখ হবে, ওইদিন একটি বৈঠকের সময় ঠিক করা হবে। ওই বৈঠকে নির্বাচনি কর্তা (সিইসি) সভাপতিত্ব করবেন। যদি রাষ্ট্রপতি পদে একাধিক প্রার্থী থাকেন, তাহলেই কেবল ওই বৈঠকটি বসার প্রয়োজন পড়বে। আর একক প্রার্থী হলে সেটার দরকার হবে না। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী, একক প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে।
এর আগে রবিবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাকিদের বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তার প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আইনের ব্যাংখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, আইনটি হচ্ছে— রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অবশ্যেই ৬০ দিনের আগে। ৯০ দিনের হিসাব শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে (পূর্ববর্তী) ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। সে হিসাবে ২৩ জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।
স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রশ্নে আমরা সংসদ সচিবালয় থেকে সংসদ সচিবালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারিখ নেবো।
Leave a Reply