অনলাইন ডেস্ক:-
বাংলাদেশ ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বৈঠক আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ভিনয় মোহন কৌয়াত্রা ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা আসবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চলতি বছর মার্চে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ভারত সফর ও সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফর হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে দুই পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২১ সালে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে, সচিবদের বৈঠকে সেগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও পানি, বিদ্যুৎ, বাণিজ্য, কানেক্টিভিটি, নিরাপত্তা, লাইন অব ক্রেডিট, রোহিঙ্গা, আঞ্চলিক বিষয়াবলি ও বৈশ্বিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনার সুযোগ আছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ’দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কোথায় আটকে রয়েছে বা কীভাবে ত্বরান্বিত করা যায়; দুই পররাষ্ট্র সচিবের মধ্যে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
উল্লেখ্য, ভিনয় মোহন গত বছর পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরে এপ্রিলে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের সফরসঙ্গী হিসেবে ঢাকায় এসেছিলেন।
সিরিজ বৈঠক
দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও জ্বালানিমন্ত্রীদের বৈঠক ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। সামনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পানিসম্পদমন্ত্রীদের বৈঠকসহ আরও অনেকগুলো বৈঠক হবে।
এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এ বছর আশা করছি ২০টিরও অধিক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হবে। এরমধ্যে রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের বৈঠক, পানিসম্পদমন্ত্রীদের মধ্যে জয়েন্ট রিভার কমিশনের বৈঠক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী, পরিবেশমন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক। এছাড়া বিজিবি-বিএসএফ শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকের কথা আছে।
জেসিসি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী মার্চের ১-২ ভারতে জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগ দেবেন। এ বছর জি-২০ এর চেয়ার ভারত এবং অতিথি দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে ভারত। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে আনুষ্ঠানিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক জুন অথবা জুলাইতে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হবে। এর আগের বৈঠকটি দিল্লিতে হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, দুই দেশেরই জাতীয় নির্বাচনের ২০২৪ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের বৈঠকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।
Leave a Reply