1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
একটি নম্বরে থাকবে রোগীর সব তথ্য রেজাউল করিম সিকদার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রতিবন্ধী দিবস পালন রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত এক, দগ্ধ তিন পুলিশ হেফাজতে যুবকের আত্মহত্যা  যারা পেলেন ‘চারদিকে সেলফ রিলায়েন্ট অ্যাওয়ার্ড’ কদমতলী থানা প্রেসক্লাব ঢাকা নবনির্বাচিত সভাপতি মহিউদ্দিন আহম্মেদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান গুনাহমুক্ত থাকতে হলে দুনিয়ার মোহ ছেড়ে আখেরাতমুখী হতে হবে বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে জাগরণ প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংস্থার আয়োজন সাতক্ষীরা দেবহাটায় ৩৫ তম আন্তর্জাতিক ও ২৫ তম জাতীয় প্রতিবন্ধি দিবস২৩ উদযাপন নলছিটির ২ নং মগড় ইউনিয়ন কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

ভিক্ষা করে দুই নাতনির পড়ার খরচ চলান বৃদ্ধা দাদি

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

শাহাদত হোসেন:-সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ-

সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে হেঁটে হেঁটে ভিক্ষা চেয়ে বেড়াচ্ছেন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বৃদ্ধা জায়েদা বেগম (৭০)। লাঠিতে ভর করে মানুষের সামনে ভিক্ষার জন্য দাঁড়ালেও কিছু চাইতে অনেকটা কষ্টই হচ্ছিল তার।

সিরাজগঞ্জের শহরের বাজার স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় এভাবেই দিনভর ভিক্ষা করতে দেখা যায় এই বৃদ্ধাকে। জানতে চাইলে এ বৃদ্ধা জানান, তাড়াশ উপজেলার কোহিত ওয়াপদা বাঁধ এলাকার বাসিন্দা তিনি।অনিচ্ছা স্বত্ত্বেও নিজের এতিম দুই নাতনির পড়াশোনার খরচ চালাতে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছেন তিনি। গেল কয়েক বছর ধরেই এমনটি করছেন।ছেলে মারা গেলেন কবে বা কীভাবে প্রশ্নে তিনি বলেন, রানা প্লাজায় ছেলে সোহেল রানা চাকরি করতেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসে মারা যায় সে। তখন ছেলের বউ ২১ দিন বয়সী হাফসা ও ৩ বছর বয়সী সুরাইয়াকে আমার ঘাড়ে ফেলে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে। আমার ছেলের স্মৃতি দুই নাতনি। তাদের জন্যই আমি ভিক্ষা করছি। ওরা মাদরাসায় পড়াশোনা করে। মাসে মাসে ওদের জন্য টাকা পাঠাচ্ছি।
নিজের কোন ঘর-বাড়ি নেই জানিয়ে করে বৃদ্ধা জায়েদা বলেন, আমি শহরের মুন্না মিস্ত্রি তার বাড়িতে একটি ঘরে আমাকে থাকতে দিয়েছেন। গ্রামে গেলে তাড়াশ ওয়াপদা বাঁধের পাশে ছোট্ট একটি ছাপড়া ঘরেই বাস করি। কেউ সহায়তা না করায় বয়স্ক ভাতা বা বিধবা ভাতার কোনো কার্ডই করতে পারেননি বলে জানান বৃদ্ধা জায়েদা।

তাড়াশের কোহিত গ্রামের বাসিন্দা ও বৃদ্ধা জায়েদার প্রতিবেশী আলামিন মীর বলেন, এক সময় সুখেই সংসার করছিলেন জায়েদা বেগম। স্বামীর মৃত্যুর পর রানা প্লাজায় চাকরি করা ছেলেই ছিল তার অবলম্বন। ওই রানা প্লাজা ধসে ছেলে মারা যাওয়ার পর থেকেই খুব কষ্টে দিন কাটছে বৃদ্ধার। নাতনী দুটিকে তাড়াশ উত্তর ওয়াপদা বাধ দারুস সালাম মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। ভিক্ষার টাকা জমিয়ে মাসে মাসে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাঠান তিনি।

তাড়াশ দারুস সালাম হাফেজিয়া কওমীয়া মহিলা মাদরাসার মুহতামিম মো: মহরম আলী বলেন, জায়েদার দুই নাতনি লেখাপড়ায় খুব ভালো। বড় নাতনি সুরাইয়া ৬ষ্ঠ শ্রেণি (আরবিতে তাইছির) ও ছোটজন হাফসা চতুর্থ শ্রেণিতে (আরবিতে নাজারা) পড়াশোনা করছে। ওই বৃদ্ধাই এদের লেখাপড়ার খরচ জোগাচ্ছেন। কয়েকমাস ধরে শহরের একজন ব্যবসায়ী তাদের বেতনের টাকা দিচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ শহরের রেলগেট এলাকার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ বলেন, একদিন লাঠিতে ভর করে কুঁজো বৃদ্ধা আমার দোকানের সামনে ভিক্ষা করছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তির কারণ জানার পর এলাকায় খোঁজ নিই। ঘটনার সত্যতা মিললে দুই নাতনির পড়াশোনার বেতনের দায়িত্ব নিই। আমি তিন মাস ধরে বেতন চালিয়ে যাচ্ছি। তবে অন্যান্য খরচ জোগাতে ভিক্ষাবৃত্তি করতেই হচ্ছে ওই বৃদ্ধাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park