”
সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
ফের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা। কয়েকদিন আগেই মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে অস্বস্তিতে পড়েছেন কেজরি। মোটা অংকের জরিমানা করা হয় তাঁকে। তারপরে ও তিনি যে দমবার পাত্র নন বুঝিয়ে দিলেন আপ শীর্ষনেতা। শনিবার কেজির মোদির নাম না করে টুইট করেন, ” চাই না, কোনও ভুয়ো ডিগ্রিধারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোক।” স্বভাবতই এই ঘটনায় নতুন করে রাজধানীর রাজনীতির পারদ চড়েছে। এদিনই বিজেপি নেতা হরিশ খুরানা দিল্লির আপ সরকারের শিক্ষা নীতি নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি টুইট করেন ” দিল্লিতে প্রতিবছর নবম শ্রেনীর ১ লক্ষের বেশি পড়ুয়া পরীক্ষায় কৃতকার্য হয় না। এরাই ( আপ) নাকি শিক্ষাক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছেন।” উত্তরে কেজরিওয়ালের টুইট ” যদিও কোনও পড়ুয়া লেখাপড়ায় দুর্বল হয়, তবে অতিরিক্ত ক্লাসে পড়ানো হবে তাকে। কারণ একদিন এই খুদেদের কেউ ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবে। চাই না যে ভবিষ্যতে কোনও ভুয়ো ডিগ্রিধারী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হোক।” খুরানার টুইটের ঘন্টা খানেক পরে হিন্দিতে জবাব দেন কেজরি। এর আগে আসাম সফরে মোদির শিক্ষাগতযোগ্যতা নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ” প্রধানমন্ত্রী মোদি যদি শিক্ষিত হতেন, তাহলে নোট বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতেন না, শেষ পর্যন্ত বাতিল হওয়া কৃষি আইন ও আনতেন না।”
উল্লেখ্য, অরবিন্দ কেজরিওয়াল মোদির ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্য আনার দাবিতে বছর সাতেক আগে একটি RTI করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে জাতীয় তথ্য কমিশন গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি প্রকাশ্যে আনার নির্দেশ দেয়। কিন্তু কমিশনের সেই নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়। তারা জানিয়ে দেয়, এভাবে RTI এর মাধ্যমে কোনও ছাত্রের ডিগ্রি প্রকাশকরা আইন বিরুদ্ধ। এই মামলাতেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Leave a Reply