নাসির উদ্দিন,গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ-
পটুয়াখালীর সর্বস্তরের মানুষের ভালবাসায় সিক্ত মৃধা বাড়ির অহংকার শাহিন মৃধা। পটুয়াখালী জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ড কাউন্সিলের অন্যতম সদস্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মৃত. আলহাজ¦ মো. সেলিম মৃধা ও মিসেস. লুৎফা পারভীনের সুযোগ্য বড় ছেলে শাহিন মৃধা। ৪ ভাই বোনের মধ্যে ২য় সন্তান হলেন শাহিন মৃধা। বড় বোন ও ছোট বোন প্রাইমারী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা এবং ছোট ভাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন। শাহিন মৃধা হচ্ছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সফল ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বারবার নির্বাচিত পটুয়াখালী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান মিয়ার নাতি। পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমানে জাতীয় যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহিন মৃধা, পটুয়াখালী জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি, মৎস্যজীবি লীগের সহ-সভাপতি, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ সামাজিক কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শাহিন মৃধা ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মকান্ড সফল করতে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। ওয়ান ইলিভেনের সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরে সর্ব প্রথম তার মুক্তির দাবীতে পটুয়াখালীর রাজপথে নেতৃত্ব দিয়ে মিছিল বের করেন। যদিও তিনি পরে গ্রেফতার হন তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দাবীতে অটল ছিলেন। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি গণমানুষ ও নেতাকর্মীদের প্রিয় হয়ে ওঠেন। করোনাকালীন সময়ে যখন মানুষ ঘর থেকে বের হতে সাহস পায়নি তখন তিনি সাধারণ মানুষের বাসায় বাসায় গিয়ে তার সাধ্যমত সাহায্য সহযোগিতা করে গেছেন। মাহে রমজান উপলক্ষে এতিমখানা, লিল্লাহ বোর্ডিং, মসজিদ, মাদ্রাসায় প্রতিনিয়ত ইফতার দিচ্ছেন। সুযোগ পেলেই গরিব মানুষদের মাঝে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। পটুয়াখালী টমটম সমিতির সভাপতি বেলায়েত খা বলেন, আমাদের আপদে বিপদে শাহিন মৃধা ভাইকে পাশে পাই। এ বিষয়ে বাস চালক সমিতির সভাপতি রহিম খা বলেন, শাহিন মৃধা একজন মাটির মানুষ। তাকে আমরা যেখানে যখন ডাকি তখন তিনি দিন রাতের চিন্তা না করে আমাদের কাছে চলে আসেন। তিনি আসলেই আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ। এ বিষয়ে বাস স্টান্ডের পাশের ফল বিক্রেতা কার্তিক দাস বলেন, শাহিন মৃধা আমাদের কাছে একজন দেবতার মত। কেননা টাকা পয়সায় যখনই আমরা ঠেকে যাই তখনই তিনি আমাদের সাহায্য করেছেন। ভগবান তাকে যেন ভাল রাখেন। এ বিষয়ে শাহিন মৃধা বলেন, আমার বাবা ছিলেন একজন দেশ রক্ষার সৈনিক। আমার মা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। বাবার মৃত্যুর পরে মায়ের ভালোবাসায় ও স্নেহে মানুষের সাথে মিলেমিশে চলি। বাবা ও মায়ের মুখে শুনেছি বঙ্গবন্ধুর ভাষা, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। তাই বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি এগিয়ে যেতে চাই। আমরা আওয়ামী লীগ পরিবার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে যাব ইনশা আল্লাহ। আমার পিতৃপুরুষের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কালিকাপুর মৃধা বাড়ি। তাই পটুয়াখালীবাসীর জন্য আমি কিছু করে যেতে পারলে নিজেকে গর্বিত মনে করব। সাধারণ মানুষ আমাকে কাছে টেনে নিয়েছে এর থেকে আমার পাওয়ার কিছু নাই।
Leave a Reply