সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
প্রায় ১২ দিন যাবৎ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন প্রাণঘাতী হামলার শিকার হওয়া মহিলা। শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় মঙ্গলবার মমিনা খাতুন নামে ওই মহিলা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পুলিশ ইতিমধ্যে ঘাতককে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, গত ১৪ ই এপ্রিল দুপুরে মমিনা খাতুন (৪৩) নিজের ঘরে কাজে ব্যস্ত থাকাকালীন সময়ে ভাসুরপো আমির খান (৩০) লোহার খন্তি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। আর সে সময় পরিবারের পুরুষ মানুষ জুম্মার নমাজ পড়তে মসজিদে ছিলেন। আর এই সুযোগে অর্তকিত হামলা চালায় কাকীর উপর আমির। তখন উপস্থিত আমির খানের মা আমিনা বেগম ও তার স্ত্রী নাজমা বেগম ২ জনেই মমিনা খাতুনের উপর হওয়া প্রাণঘাতী হামলা থেকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় বলে জানান তাঁরা। অপরদিকে মমিনা খাতুনের স্বামী বসির খান জুম্মার নমাজ শেষে নিজের ঘরে ফিরে এসে দেখেন তাঁর স্ত্রী মমিনা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে। তড়িঘড়ি গুরুতর আহত মমিনা খাতুনকে করিমগঞ্জজেলার দুর্লভছড়া মডেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। তারপর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরি মমিনা খাতুনের উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। অবশেষে মঙ্গলবার গুরুতর আহত মমিনা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন। এরপরেই রাতাবাড়ি পুলিশ হামলাকারী আমির খানকে গ্রেফতার করে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply