মোঃ শামীম আহমেদ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ-
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রান্তিক গেইটে স্টপেজে না থামায় বাস থেকে নামতে গিয়ে হাসান মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সাভার পরিবহনের ৮টি বাস আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৫ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো আটক করেন জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা। আহত হাসান মাহমুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র।
শিক্ষার্থীসূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ৯টার দিকে নবীনগর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলেন হাসান মাহমুদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেইটের স্টপেজে বাস না থামিয়ে তাকে নামিয়ে দেন। এতে রাস্তায় পড়ে পায়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী হাসান মাহমুদ বলেন, আমি নবীনগর থেকে সাভার পরিবহনের একটি বাসে ক্যাম্পাসে ফিরছিলাম। আমার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকায় বাস থেকে আস্তে-ধীরে নামি। কিন্তু নামার সময় বাসের হেল্পারকে থামাতে বললেও তিনি না থামিয়ে চলন্ত অবস্থায় আমাকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেয়। আমি রাস্তায় পড়ে পায়ে আঘাত পাই।
গণিত বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদ বলেন, আমি হাসানের সঙ্গে হাসপাতালে আছি। হাসানকে জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। আমরা বাসের হেল্পারের শাস্তি ও চিকিৎসার খরচ বহনের দাবি জানাই। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের দাবি, এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা ও শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ সাভার পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।
সাভার পরিবহনের এক চালক জিতু সরকার বলেন, শুনেছি সকালে একটি বাস থেকে শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দিয়েছে। এজন্য আমাদের বাস আটকে রেখেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে শুনেছি। আমরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্য আমাদের ছাত্র এ দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। তাই তার চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। আমরা পুলিশের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবো।
Leave a Reply