রাজীব মুন্সী,পীরগাছা রংপুর প্রতিনিধিঃ-
রংপুরের পীরগাছায় অপরিকল্পিতভাবে আলাইকুঁড়ি নদী বিএমডিএ পুন: খনন করায় ভেঙে পড়েছে প্রায় ৬০ বছরের একটি ব্রিজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে ব্রীজটি ভেঙ্গে বলে জানান স্থানীয় লোকজন প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান খনন করার উদ্দেশ্যে বৃষ্টির পানি কে একপাশে আটকে রাখা ছিল পরে পানির স্রোত বৃদ্ধি পাওয়াতে বাধ খুলে যায় ফলে ব্রীজের নিচে সৃষ্টি হয় স্রোত যার ফলে পাটাতনের মাঠি সড়ে গিয়ে ভেঙ্গে যায় ব্রীজটি। ব্রিজ ভেঙে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছে রংপুর-পাওটানা রোডের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে বিপদে পড়েছে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও অটোভ্যান চালক শ্রমজীবী মানুষেরা। এতে নদীর দুই পাশের জনপদে হঠাৎ করে দুর্ভোগ নেমে আসে। রোববার রাত ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে ব্রিজটি ভেঙে যায়।যার ফলে দুই পাশের হাজার হাজার পরিবার এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।
স্থানীয়রা বলেন, আলাইকুঁড়ি নদী বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ ইআইআরপি প্রকল্পের মাধ্যমে অপরিকল্পিতভাবে খনন করে। ওই নদীর বিভিন্ন স্পটে পানি আটকানোর জন্য বাঁধ নির্মাণ করে। কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় উজানের পানি নদীতে নামায় বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে সবগুলো বাঁধ কেটে দেওয়ায় পানির তীব্র স্রোতে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ব্রিজ ভাঙায় কোন জানমালের ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর-পাওটানাহাট রাস্তায় ১৯৬৩ সালে ইটাকুমারী ও পারুল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দামুরচাকলা বাজারের পশ্চিমপাশে লাগোয়া ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালে ওই ব্রিজটির উপরি অংশ সংস্কার করা হয়। এরপর ওই ব্রিজের কোনধরণের সংস্কার করা হয়নি। ব্রিজের উপর দিয়ে ওভারলোডের গাড়ি পরিবহন ও অপরিকল্পিতভাবে নদী খনন করায় ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সর্বজনস্বীকৃত।
ব্রিজ ভাঙনের কারণ জানিয়ে স্থানীয় রফিক মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, নদীটি খনন করার পরে স্রোতের কারণে ব্রিজটি ভেঙে যায়। ঢাকা হতে পাওটানাহাট পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। এমনকি হাটবাজার করতে সমস্যা হচ্ছে। মূলত ঠিকাদার শক্তিশালী হওয়াতে কেউ কিছু বলতে পারে নাই।
স্থানীয় সংবাদ কর্মী সৈয়দ আলী বলনে ব্রিজটি ভাঙার ফলে অফিসে যাতায়াত করতে অনেক দুর পথ হেঁটে যেতে হচ্ছে। তাই কলাগাছের ভেলা দিয়ে কষ্ট করে যাতায়াত করতে হচ্ছে।অনেক শিক্ষার্থী যাতায়াত করতে পাড়ছে না
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হক সুমন আমাদের জানান বিষয়টি বিএমডিএ দায়িত্বহীনতার সহিত খাল খননের কারণে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমি এর ব্যাখ্যা চেয়েছি। বর্তমান চলাচলের বিষয়ে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে জরুরি ভিত্তিতে ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। খাল খননের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও পীরগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল হক লিটন কে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি আমাদের বলেন নতুন ব্রীজের টেন্ডার হয়েছে তারাতারি কাজ শুরুহবে, তার এই কথায় অনেকে বলেন এটা পরিকল্পিত ভাবে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের রংপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমানকে একাধিকবার ফোন দেয়ার পরও ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি অফিসে গিয়েও তার কোন দেখা মেলেনি।
Leave a Reply