আরিফ মিয়া, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়ার ০৯ নং ওয়ার্ডের আলোচিত মেম্বার বজলু মারা যাওয়ার পর শূন্য ঘোষিত ০৯ নং ওয়ার্ডের উপ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিস। গত ২৮ তারিখ প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়। নির্বাচনি প্রতিক পেয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রার্থীরা, প্রচার প্রচারনায় ব্যস্ত সময় পার করছে প্রার্থীদের অনেকেই। সরেজমিনে দেখা যায়- পোস্টার, ব্যানার আর লিফলেটে ছেয়ে গেছে পুরো ৯নং ওয়ার্ড। অনেক প্রার্থী ইতোমধ্যে তাদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে, কেউ আবার ভোটারদের মন জয় করার জন্য নানান রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, প্রার্থীদের এতোকিছুর পরেও ভোটারদের মাঝে নির্বাচন নিয়ে কোন আমেজ লক্ষ করা যায়নি।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনে যে সকল প্রার্থী দাড়িয়েছে তাদের অনেকেরই নির্দিষ্ট কোন পেশা নেই, অনেকেই মাদক, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী। অনেকের বিরুদ্ধে প্লট বানিজ্যেরও অভিযোগ আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসীর অনেকেই বলেন যে, কিছুদিন আগেও সপ্তাহ ব্যাপি তান্ডব লীলা চালিয়ে পুরো এলাকাকে একটি আতঙ্কের এলাকায় পরিনত করা হয়েছিলো, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট করা হয়েছিলো, জন শূন্য করা হয়েছিলো পুরো চনপাড়াকে, কারা করেছিলো? আজকে যারা মেম্বার প্রার্থী হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই এই তান্ডবলীলা, লুটপাট ও মারামারিতে জড়িত ছিলো।
মাদক ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য যারা চনপাড়াকে আতঙ্কের নগরীতে পরিণত করতে পারে তারা যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে ছেলে সন্তান পরিবার নিয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে তারা আশঙ্কা করছে, যার জন্য স্থানীয় ভোটারদের মাঝে কোন নির্বাচনি আমেজ নেই। এলাকাবাসীর দাবী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যেন অনুষ্ঠিত হয়, ভোটাররা যেন নিরাপত্তার সাথে ভোট দিতে পারেন।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বদ্ধপরিকর। তারা জানান যে, যেহেতু চনপাড়া একটি রেড জোন এলাকা সেহেতু এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে সকল প্রদক্ষেপ নেয়া দরকার তাই নেবে সরকার, এক বিন্দুও ছাড় দেয়া হবে না। কোন প্রার্থী যদি নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ করে, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, দাঙ্গা হাঙ্গামার পায়তারা করে এমনকি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে প্রশাসন তাকে এক বিন্দুও ছাড় দিবে না।
Leave a Reply