শিবলী সাদিক খান,ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ-
গফরগাঁও উপজেলায় টোক পর্যন্ত ৩০ কিঃমিঃ ব্রহ্মপুত্র নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ এতটাই সীমালঙ্ঘন করেছে যে চরাঞ্চলের নারীপুরুষ কৃষক জনতা প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে। গত কয়েক দিন হলো বালু খেকো এবং কৃষক জনতা দা লাঠি নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ সংঘর্ষ হতাহতের ঘটনা।
কিছু সিন্ডিকেট চক্র ইজারাবিহীনভাবে এ বালু উত্তোলন করছে। ব্রহ্মপুত্র নদ খনন প্রকল্প চলমান থাকায় নদের কোনো বালু মহাল ইজারা দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বালুর চাহিদা থাকায় অসাধুচক্র বালু উত্তোলন করছে। কোথাও কোথাও লুকোচুরি করা হলেও গফরগাঁও উপজেলায় প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চলছে।
গফরগাঁওয়ের ব্রহ্মপুত্র নদের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেশ কয়েকটি বালু মহাল রয়েছে। পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের তীর ঘেঁষে চলা ময়মনসিংহ-গফরগাঁও টোক সড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়েই চোখে পড়বে ড্রেজার বেকু বসিয়ে বালু উত্তোলনের দৃশ্য।
সরকারি ইজারার নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, আবাসিক এলাকা, ব্রিজ, কালভার্ট, সড়ক ও রেলপথের এক কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বালু বা মাটি উত্তোলন নিষিদ্ধ হলেও কোনো নিয়ম-নীতি মানা হচ্ছে না। বহ্মপুত্র নদ থেকে প্রতিদিন ৫শ’ থেকে ১হাজার’ ট্রাক-ট্রলি বালু নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। স্থানীয় সিন্ডিকেট চক্র প্রশাসনের নাকের ডগায় দেদারছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। ইজারাদার নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা করছে না।
গফরগাঁও উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ বয়ে চালায় চরআলগী ইউনিয়নকে বিভক্ত করছে। নদের তীরবর্তী এই চরআলগী ইউনিয়নের একমাত্র আয়ের উৎস কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করা। অনেক কৃষকের জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে চর জেগে উঠায় সেখানে বিভিন্ন জাতে ফসল ফলিয়ে দু’মুঠো খেয়ে পড়ে জীবনযাপন করার স্বপ্ন দেখছে কৃষক। কিন্তু অবৈধ বালু উত্তোলনকরীগন বেকু বসিয়ে সমান্তরাল চরের জমির বালু মাটিতে নানারকম নালা খানাখন্দ সৃষ্টি করে নদীর তীরবর্তী অংশ ভাঙ্গনের কবলে পতিত করছে। এরই প্রতিবাদে চরআলগী ইউনিয়নের নদের তীরবর্তী এলাকার শত সহস্র জনগণ সপ্তাহব্যাপী প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাচ্ছে না। স্হানীয় জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Leave a Reply