মোক্তার হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃ-

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা -৬ আসনের কয়রা -পাইকগাছার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়লের নৌকা প্রতীকের সমর্থনে কয়রা উপজেলা যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বায়লারহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহারাজপুর কওমী মাদ্রাসা,কালনা মেঘার আইট মিস্ত্রী বাড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে নৌকার প্রার্থী মোঃ রশীদুজামান মোড়লের সমর্থনে খুলনা জেলা পরিষদের সদস্য ও মহারাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠকে লিলিমা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে এবং সুমাইয়া লতার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, শিউলি বিশ্বাস ,সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা জেলা মহিলা যুবলীগ সুলতানা মিলি। বক্তারা আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং পুনরায় নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। উঠান বৈঠকে বিপুল সংখ্যক নারীকর্মীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এছাড়া উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের উপজেলা যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে নির্বাচনী পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উঠান বৈঠক ও পথসভায় রশীদুজ্জামানের কন্যা মৃত্তিকা তার বাবাকে বিজয়ী করতে নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
রশীদ কন্যা মৃত্তিকা তার প্রতিটি উঠান বৈঠক ও পথসভায় সর্ব সাধারণের জানান,আমার চেয়ে আপনারা আমার বাবাকে বেশি কাছে পেয়েছেন। আমার বাবা জনগনের অধিকার আদায়ের দাবিতে অনেকবার জেল খেটেছেন । ঘেরবিরোধী আন্দোলনে অনেক জুলুম সহ্য করেছেন। এজন্য ছোট বেলায় বাবাকে কাছে পাইনি। তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় অনেক উন্নয়নও করেছেন। তিনি আমাদের যে রকম ভালবাসেন ঠিক তেমনি জনগনকে ভালবাসেন। আমার বাবা সৎ, ব্যক্তিত্ববান ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ। মানুষের সঙ্গে মেশার অসম্ভব ক্ষমতা আছে আমার বাবার। আমার কোন ভাই নেই আমরা তিন বোন।আমি আপনাদের মেজবান আপনারা আমার মেজবান। মেজবানরা মেহমানের আতিথিয়তা করেন, আপনাদের আমাকে আতিথিয়তা করতে হবে না। আপনাদের দেখে আমি খুব খুশি । কাঁদো কাঁদো কন্ঠে উঠান বৈঠকে ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার কোন ভাই নেই আপনারা আমার ভাই। আপনারা সবাই আমার বাবাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিবেন এভাবে কাঁদো কন্ঠে ভোট চাওয়ায় মহিলাদের হ্নদয় ছুয়েছে। এমন আবেগপ্রবণ কন্ঠে প্রথমবারের মত ভোটের মাঠে প্রার্থীর মেয়ের অশ্রু স্বজল দেখে মহিলারা উঠান বৈঠকে কেঁদে ফেলেন এবং হাত উচিয়ে নৌকার ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কয়রা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পথসভায় এসব বলেন তিনি। মহারাজপুর ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলিমা চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে বাবার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন, মোঃ রশীদুজ্জামানের বড় মেয়ে মৃত্তিকা জামান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নৌকাকে বিজয়ী করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, নৌকা হলো উন্নয়নের প্রতীক। এই প্রতীকে ভোট দিলে মানুষ উন্নয়ন দেখতে পায়। একজন নারীকে তাদের সন্তান বা স্বামী ভাত দেন না।শেখ হাসিনা সরকার কিন্তু তাদের ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন। দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হলে আরোও কয়েকগুন বেশি উন্নয়ন হবে। আপনাদের মূল্যবান ভোট টি নৌকা মার্কায় পেলে আমার বাবা বিজয়ী হবেন।আপনাদের কাছে আমার বাবার জন্য ভোট প্রার্থনা করছি। আগামী ৭ ই জানুয়ারি নৌকার বিজয় হলে কয়রা- পাইকগাছার প্রতিটি ওয়ার্ড- গ্রাম মডেল গ্রামে পরিণত হবে ইনশাআল্লাহ। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা মহিলা যুব আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব বৃন্দ।