1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
হাবিবুর রহমান মোল্লার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ রাজধানীর কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগে চোরাই পিকআপ সহ তিন সক্রিয় চোরাই সদস্যকে আটক করেছে কদমতলী থানা পুলিশ আজ বিশ্ব মুক্ত-গণমাধ্যম দিবস রেন্টকারের ড্রাইবার কথিত সোর্স কানকাটা জাকির যখন রিপোর্টার পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মজীবনে যা বললেন অতিরিক্ত আইজিপি-মাহবুব টঙ্গীবাড়ীতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলা পথচারীদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রাজধানী যাত্রাবাড়ী থেকে ১৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০ ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আড়াল করতে মরিয়া কদমতলী ইসলামিয়া হাসপাতাল

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ১ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

শিশুর মৃত্যুর ঘটনা আড়াল করতে মরিয়া কদমতলী ইসলামিয়া হাসপাতাল

রাজধানীর কদমতলী থানাধীন ইসলামিয়া হাসপাতালে অদক্ষ চিকিৎসা ও অবহেলার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে দেড় মাসের শিশুর মৃত্যুর ঘটনাটি আড়াল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কর্তৃপক্ষ। শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র ও ডাক্তারি বিভিন্ন কাগজপত্র কৌশলে সরিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ৩০ জানুয়ারী রাত ৮ টায় দেড় মাসের শিশুটিকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ইসলামিয়া হাসপাতালে আসেন মেরাজ নগরে বসবাসকারী শিশুটির মা। এসময় কনসালটেন্ট ডাক্তার শিশুটিকে দেখার পর ২ টি ব্লাড টেষ্ট ও আলট্রাসনোগ্রাফি করতে ব্যবস্থাপত্র দেন ও তাদের নার্সকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

হাসপাতালের অদক্ষ নার্স এক সময় মার কোলে থাকা শিশুটিকে শিশুর আলট্রাসনোগ্রাফি সম্পন্ন করে বাচ্চার হাতে রগ খুজে না পেলে তার হাতে একাধিক বার ইনজেকশন পুশ করেন। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে অসাবধানবসত ২ সিরিজ রক্ত নিয়ে ক্ষত স্থানে সামান্য তুলার সাহায্যে রক্ত বন্ধ করে দেন। এই অবস্থায় বাচ্চার কান্নারও চিৎকারের আওয়াজ শুনে বাচ্চার মা এগিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চার পরিবারকে শান্তনা দিয়ে বাচ্চাটিকে রাত ৯ টার সময় হাসপাতাল থেকে বাসায় পাঠিয়ে দেন। বাসায় যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটে। বাচ্চার ব্লাড নেয়া জায়গা থেকে অনবরত ব্লাড ঝরতে থাকে।

এই অবস্থায় কোনোভাবেই ব্লাড বন্ধ করতে পারছিলো না, বাচ্চাটির পরিবার। তখন রাত ১২ টা, এবার রক্তপড়া বন্ধ করতে আবার নিয়ে আসা হয় ইসলামিয়া হাসপাতালে, কিন্তু এসে দেখে এ সময় হাসপাতালে কোনো ডাক্তার নেই, আছে নার্স। বাচ্চাটির মুমুর্ষ অবস্থায় হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয় বারও চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হয়। এসময় বাচ্চার শরীর থেকে রক্ত পড়া ৬ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেছে। এসময় বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ও অপচিকিৎসায় মৃত্যু এড়াতে ইসলামিয়া হাসপাতাল কতৃপক্ষ কৌশলে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষনিক পরিবার মুমুর্ষ শিশুটিকে বাঁচাতে ঢাকা মেডিকেল ইমারজেন্সিতে নিয়ে যায়। এর ঠিক ১ ঘন্টা পর ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এবং কজ অফ ডেইথে সেখানে মৃতের কারণ হিসেবে ৬ ঘন্টা রক্তক্ষরণে বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেন। কান্নাভরা কন্ঠে শিশুটির মা বাবা গণমাধ্যম’কে এসব কথা বলেন, ইসলামিয়া হাসপাতালের অধ্যক্ষ নার্স ও কর্তৃপক্ষের ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়া দেড় মাসের শিশুর মা ভুক্তভোগী হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলিত ও গাফলতিতে অসুস্থ থাকা অবস্থায় দেড় মাসের শিশুর মৃত্যুর ঘটনা জানতে চাইলে নিজেদের দায় অস্বীকার করে ইসলামিয়া হাসপাতালের ইনচার্জ আজিজুর রহমান দৈনিক সকালে সময়’কে বলেন হাসপাতালের গাফিলতিতে এবং অবহেলার কারণে বাচ্চা মারা গেছে একথা আপনাদেরকে’কে বলেছে আমাদের হসপিটালে এমন কোন রোগী আসেনি, এই সব মিথ্যে বানোয়াট কথা ভাল করে জেনে শুনে তারপর আসেন। তিনি এক পর্যায় সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচারন করতে থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব গাফিলতিতে এবং অবহেলার কারণে বাচ্চা মৃত্যু বুঝেতে পেরেই বাচ্চাটির চিকিৎসার ফাইলপত্র প্রেসক্রিপশন বাচ্চার পরিবারের কাছ থেকে কৌশলে নিয়ে নেন! এ অভিযোগে ইসলামিয়া হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলেন এমন কোনো রোগী আমাদের এখানে আসে নাই, বাচ্চার কাগজপত্র নিয়ে তারপর আসেন। এ ঘটনায় স্থানীরা দুঃখ প্রকাশ করে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park