1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একে একে বেরিয়ে আসছে এনবিআরের ‘কালো বিড়াল’, কোথায় কী সম্পদ মুন্সীগঞ্জে রাস্তার পাগলকে বদলে দিলেন সেবায় মানবকল্যাণ টিম শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় এক যুবক আটক মুন্সীগঞ্জে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ডিসি মতলব উত্তরে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চার পরিবার সমাজচ্যুত মুন্সীগঞ্জে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আগমনে বিষয়ে যা বললেন এমপি মুন্সীগঞ্জে পদ্মায় প্রধানমন্ত্রী আগমনে জেলা পুলিশ সুপার ব্রিফিং মতিউরের চার ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোকের নির্দেশ কয়রায় যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘর ছাড়া মা -মেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ১ আগষ্ট

সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন তসলিমা নাসরিন

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১৮১ বার পঠিত

এইচ,এম,রহমাতুল্লাহ্:-নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

গত কয়েকদিন ধরে নিজের টাইমলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েই যাচ্ছেন ভারতে নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ভুল চিকিৎসায় তিনি পঙ্গু হয়েছেন বলে নিজের স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৯.১৯ মিনিটে একটি পোস্ট দিয়ে তসলিমা নাসরিন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি এই পোস্টে লিখেছেন, ‘ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি এতকালের আমার মেডিক্যাল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙ্গেছে। আমার কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিট্মেন্টের নামে আমাকে হিপ জয়েন্ট কেটে,  ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে  পড়লাম। আজ আমি এক্সরে রিপোর্ট দেখলাম আমার। আমার কোথাও কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি সেদিন।’

এর আগে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে আরেকটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘মানুষকে বিশ্বাস করার ফল কী হতে পারে, যারা বন্ধু নয় তাদের বন্ধু ভাবার ফল কী হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। নিজের জীবন দিয়ে টের পেলাম।  হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সে বোধ হয় বন্ধু, তাকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিল তার হাসপাতালের  অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট। সেই এক্সপার্ট শুরু থেকে আমার ফিমারের সামান্য ফ্র্যাকচারের ফিক্সেশান  টিট্মেন্ট না করে আমার হিপ রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি বাধা দিয়েছি। তিনি বারবার এসেছেন আমাকে  কনভিন্স করতে। তিন চারজন ডাক্তারকে পাঠিয়েছেন কনভিন্স করতে। আমাকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি  চিন্তা করতে, কারও সঙ্গে পরামর্শ করতে  বা শুভাকাংখীদের কারো সঙ্গে কথা বলতে।’

তিনি নিজেই লেখেন, যে কারণে  হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে হয় — 
তা হলো-১ যদি  জয়েন্ট রোগের  প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ইত্যাদি  শল্য চিকিৎসা ব্যর্থ হয়
২ যখন জয়েন্ট পেইন কোনও রকম ব্যথার ওষুধে সারানো যায় না
৩ যখন জয়েন্ট  রোগের কারণে মুভমেন্ট করা সম্ভব হয় না, যখন এক পাও হাঁটা যায় না
৪ যখন জয়েন্ট সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে ক্ষয় হয়ে শেষ পর্যায়ে চলে আসে
৫ যখন জয়েন্টের তীব্র যন্ত্রণায় মানুষ কোনও কাজ করতে পারে না, ঘুমোতে পারে না। 
৬ যখন নানা রকম আর্থ্রাইটিস রোগে  জয়েন্ট  বাতিল   হয়ে যায় 
ওপরের  কারণ ছাড়া হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে হয় না। 
অথচ ওপরের একটি  কারণও আমার ছিল না। আমার জয়েন্টে কোনও ধরণের রোগ ছিল না। 

তিনি শেষ দিকে লেখেন, ‘জয়েন্ট আমার চমৎকার ছিল, কোনওদিন কোনও পেইন ছিল না।  যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেই সমস্যার ট্রিট্মেন্ট না করে ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলে আমার শরীরের সুস্থ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না বড় ডাক্তাররা এমন ভয়াবহ ক্রাইম করতে পারেন। আর আমি জানিনা  আমারও বুদ্ধিসুদ্ধি কোথায় উবে গিয়েছিল যে এমন ক্রাইমের শিকার হতে নিজেকে দিলাম!’

সুত্র :-অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park