1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একে একে বেরিয়ে আসছে এনবিআরের ‘কালো বিড়াল’, কোথায় কী সম্পদ মুন্সীগঞ্জে রাস্তার পাগলকে বদলে দিলেন সেবায় মানবকল্যাণ টিম শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টায় এক যুবক আটক মুন্সীগঞ্জে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ডিসি মতলব উত্তরে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চার পরিবার সমাজচ্যুত মুন্সীগঞ্জে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী আগমনে বিষয়ে যা বললেন এমপি মুন্সীগঞ্জে পদ্মায় প্রধানমন্ত্রী আগমনে জেলা পুলিশ সুপার ব্রিফিং মতিউরের চার ফ্ল্যাট ও জমি ক্রোকের নির্দেশ কয়রায় যৌতুক নির্যাতনের শিকার হয়ে ঘর ছাড়া মা -মেয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন ১ আগষ্ট

পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে হত্যা, ২৬ বছর পর স্ত্রীর যাবজ্জীবন

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৬৩ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:-
নোয়াখালীতে ২৬ বছর পর স্বামী আবু সোলাইমান মাহমুদ মুহুরী (৩৫) হত্যার ঘটনায় স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।

স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনিসহ দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সুধারাম থানার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন (৪০)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ স্বামী অপহরণ হয়েছে বলে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান তদন্ত করতে গিয়ে মৃত্যুর এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে অজ্ঞাত মরদেহ পান। মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর বলে বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে জানেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তিনি স্ত্রীসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত ৩ আসামি সোলেমান মুহুরীকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

স্ত্রী ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা জানান, তারা ১৯৯৭ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি সোলেমান মুহুরীকে সুধারাম মডেল থানার চন্দ্রপুর এলাকার নীলকুঠি নামক বাড়িতে হত্যা করে লাশ গুম করে রাখে। দীর্ঘ ২৬ বছর পর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় দেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, স্ত্রী রহিমা খাতুন, হেঞ্জু মিয়া ও গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করলে তিন ১৬৪ ধারায় নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর তারা পলাতক। রায় ঘোষণার সময় আসামি আব্বাস আদালতে উপস্থিত ছিল।

এমদাদ হোসেন কৈশোর আরও বলেন, মূলত স্ত্রী রহিমা হেঞ্জু মিয়ার সঙ্গে পরকিয়ায় জড়িত হয়ে হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়। রায়ে বলা হয়েছে গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন টাকার লোভে পড়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়। আসামি আব্বাস, মাইনুদ্দিন, হানিফ ও শহিদুল্লাহকে খালাস প্রদান করেন আদালত। রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বপন চন্দ্র পাল ঢাকা পোস্টকে বলেন, রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশাকরি সেখানে আসামিরা খালাস পাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park