মোঃ ফয়সাল হোসেন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে মিথ্যা অভিযোগ ও অত্যাচারের প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল (২৪ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামে এ মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন স্থানীয় কয়েক শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সম্প্রতি কুকুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে স্থানীয় জাবেদা বেগম ও ছেলে জাবেদসহ চারজনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করেন। এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। জাবেদা বেগমের লোকজন পোস্টার ছাপিয়ে তা লাগানোর জন্য দুই শ্রমিক সাইফুল ইসলাম বাবু ও নাহিদকে দায়িত্ব দেন। এভাবেই বর্ণনা করেন মানববন্ধনকারী বক্তারা।
বক্তব্যতে আরো বলেন, গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার সময় সাইফুল ও নাহিদ পোস্টার লাগাতে যাচ্ছিলেন। এসময় টুনিয়া মান্দ্রা ব্রিজ থেকে তাদের আওয়ামী লীগ ক্লাবের কথা বলে ধরে নিয়ে যান ড্রেজার সিরাজ, মেহেদী হাসান রিয়াজ, সাজু, ফিরোজসহ কয়েকজন। এরপর দুজনকে চার ঘণ্টা আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। পরে ২২ পিস ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি সাজানো বলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। রাতে আবার অজ্ঞাত কারণে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু এ দুই ঘটনাই নয়, চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশে তার লোকজন অত্যাচার করে এলাকাবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব ঘটনায় আমি জড়িত না। মারামারি-হানাহানিতে আমার কোনো লোকজন নেই। আমি একাই চলি।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা বলেন, আমি বা আমার কোনো লোকজন এসব ঘটনায় জড়িত না। তারা মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যা বলেছেন সব মিথ্যা।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।