এইচ,এম,রহমাতুল্লাহ ” বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, চট্রগ্রাম হাইওয়ে, চিটাগাংরোডে অবস্থিত অভিজাত মিষ্টির কারখানা ‘সোনারগাঁও মিষ্টান্ন ভান্ডার’-এ নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করছে শ্রমিকরা। পুরাতন মিষ্টির রস ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে নতুন মিষ্টি। আধুনিক যুগে এসেও তারা খালি হাত দিয়ে শরীরের ঘাম আর ময়লায় একাকার করে তৈরি করছে নামি-দামি মিষ্টি। সতর্কতার নাই কোন লেশ মাত্র।
রাস্তায় উড়ছে ধুলা-বালি, পড়ছে মিষ্টির উপর, ঝারু দিচ্ছে সব খাবার আগলা রেখেই।
অভিজাত পরিবারের প্রিয় মিষ্টি এ কারখানায় তৈরি হয়। অথচ এত নোংরা পরিবেশে মান্ধাতার আমলের নিয়মে খালি হাত দিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয়। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়,পুরো কারখানা জুড়ে কাদামাটিতে সয়লাব। খালি গায়ে বসে কর্মচারীরা মিষ্টি তৈরি করেন। ঘাম আর মাছি তো ভোক্তাদের জন্য বোনাস।
কারখানার মেঝে কাঁদা ও ময়লা পানিযুক্ত। মেঝেতে মিষ্টিদ্রব্য রাখার ফলে মেঝের কাঁদা ময়লা মিশে মিষ্টিদ্রব্য দূষিত হচ্ছে। দোকান থেকে ফেরত আনা ময়লাযুক্ত মিষ্টির সীরা (চিনি-পানি) নতুন মিষ্টিতে ব্যবহার করছে। দধি রাখা স্টোর রুমের ভিতর র্যাকে ও মেঝেতে রাখা দধির উপরে কর্মচারিদের ব্যবহৃত ময়লা কাপড় ও অন্যান্য ময়লাযুক্ত মালামাল রাখায় দধির উপর ময়লা ও ধুলা বালি পড়ে তা দুষিত হচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে কথা হয়, ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক,মো: সেলিমুজ্জামানের সাথে, তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না, তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে যথা-উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩-এর ৩৩ ধারা মোতাবেক জরিমানাসহ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নামী-দামি এ মিষ্টি অভিজাত পরিবারে বেশ জনপ্রিয়। অথচ সেই কারখানায় নোংরা পরিবেশে মিষ্টি তৈরি করার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না।
এ ব্যাপারে কথা হয় কারখানার মালিকের একান্ত লোক মো. জহিরের সাথে। তিনি এ সাংবাদিকদের জানান, এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন সময় আইনের লোকেরা আমাদেরকে সতর্ক বার্তা দিয়েছে আমরা আমাদের সেফটি নিয়ে কাজ করি। মাক্স, হেন্ড গ্লোভস, বুট জুতা যাবাতীয় সব রয়েছে। এবং অনেক জবাব তিনি ইতোমধ্যে দিয়েছেন বলে জানান। তবে এই অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গায় নামে বে নামে দোকানে নামীদামী মিষ্টির দোকান খুলে বসেছে অনেকে।
আমরা তাদের থেকে আলাদা বলে দাবী করেছেন জহির।
Leave a Reply