মোঃ শামীম আহমেদ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ-
আশুলিয়ায় একটি অনুমোদনহীন সিলিন্ডার মজুদ ও রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুই শিশু সহ আহত ৪ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা।
শনিবার (১৩ মে) সকাল ৯ টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তেঁতুলতলা এলাকার বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তির কারখানায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রবাসী দুলাল মিয়ার বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, বিল্লাল হোসেন নামের একজন ওই কারখানাটিতে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গ্যাসের খালি সিলিন্ডার সংগ্রহ করে তাতে বালু ও পানি ভরে ৪৫ লিটার গ্যাসের বড় সিলিন্ডার গ্যাস রিফিল করতেন। প্রতিদিনের মত আজকে সকালেও একই ভাবে গ্যাস রিফিল করার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে নিমিষেই চারদিকে আগুন ধরে যায়। এসময় আগুনে দগ্ধ হয় দুই শিশু সহ ৪ জন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। আহতরা হলেন বিল্লাল,শরিফুল সহ দুই বাচ্চা। আর এই সিলিন্ডার গ্যাসের মুল মালিক হলো নাহিদ এন্টারপ্রাইজ। মালিকের নাম মোঃ ইসলাম তার আরও দুটি গোডাউন আছে বলে জানিয়েছেন স্হানীয় লোকজন।
এ ব্যাপারে অবৈধ গ্যাস রিফিল কারখানার মালিক বিল্লালের সঙ্গে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মুল মালিক ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।মালিক, ম্যানাজার পলাতক।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর মো. ওয়ালি উল্লাহ জানান, আজ সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে ওই টিনসেড গোডাউনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এঘটনায় দুই শিশু সহ ৪ জন দগ্ধের খবর পেয়েছি। তবে আমরা সেখানে যাবার আগেই স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ মে আশুলিয়ার উত্তর কাঠগড়া এলাকায় সোহরাব ও রাজীবের অবৈধ কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। ওই ঘটনার ৯ দিন পর আজ একই ধরনের কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলো।
স্হানীয় লোকজন আরও বলেন আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও অবিলম্বে এই মালিক পক্ষের ও বাড়ীওয়ালার বিচার চাই। এবং প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছি আশুলিয়ায় এরকম অনেক বাসা বাড়িতে গোডাউন আছে এগুলো বন্ধ করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
আজকে আমরা আশেপাশে মানুষ মরতে মরতে বেঁচে গেছি।
Leave a Reply