হাবিবুর রহমান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন,বিভিন্ন পূজা মন্ডপে শুভ বিজয়া দশমী। ঘোড়ায় চড়ে মর্ত্য ছেড়ে আজ কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দুর্গা। প্রতিমা
বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবের আজ সমাপ্তি ঘটবে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ধর্মীয় নানা আচারের মধ্য দিয়ে বন্দরসহ বিভিন্ন থানায় বিজয়া দশমী উদযাপিত হচ্ছে।সোমবার দুর্গোৎসবের চতুর্থ দিন সকালে মণ্ডপে মণ্ডপে বিহিত পূজার মাধ্যমে মহানবমীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু
হয়। দুর্গতিনাশিনী দেবীর চরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে মনোজগতের আসুরিক প্রবৃত্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের অশুভ
শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির জাগরণে প্রার্থনা করা হয়। মহানবমীতে বন্দরসহ জেলার বিভিন্ন মন্দিরে ও মন্ডপে ভক্তের ঢল নামে। হাজার হাজার হিন্দু ভক্ত ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন দেবী দর্শনে আসে। বিশেষ করে বন্দরসহ লাঙ্গলবন ও নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন গলিতে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। তবে দুপুরের পর নারায়ণগঞ্জের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে ওঠে। সন্ধ্যায় আরতি শেষে দেবীর বন্ধনের প্রতিটি পূজামণ্ডপে বিষাদের সুর বাজতে শুরু করেছে। বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের আগে বিভিন্ন মন্দির ও মণ্ডপ থেকে শোভাযাত্রা বের হবে, যা শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঘাটে গিয়ে শেষ হবে। বিজয়া দশমী উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী একনাথনন্দ বলেন, আজ সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটে দেবীর দশমী বিহিত পূজা করা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর হয়েছে দর্পণ বিসর্জন। বিকেল ৪ টার পর থেকে মন্দির থেকে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে বিজয়া শোভাযাত্রা বের করা হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও নারায়ণগঞ্জের বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, মেঘনা নদীতে ও ব্রহ্মপুত্র নদে প্রতিমা বিসর্জন হবে।