হাবিবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

নারায়ণগঞ্জ – ৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। গণসংবর্ধনার বক্তৃতায় তিনি বলেন মানুষের জন্য কাজ করায় জনগণ তাদের হৃদয়ে স্থান দিয়েছে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটিই সবচেয়ে বড় পাওয়া। এরচেয়ে বড় পাওয়ার কিছুই আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়ার নাই। আল্লাহ তায়ালা আমাকে যথেষ্ট দিয়েছেন এখন শুধু বাকিটা সময় মানুষের সেবা করে কাটিয়ে দিতে চাই। আর বন্দর বাসীর জন্য কিছু একটা করে যেতে চাই। এলাকার উন্নয়ন করতে পারায় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই আর বন্দর বাসী আমাকে গণসংবর্ধনা দেওয়ায় তাদের প্রতি রইলো আমার ভালোবাসা।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে বন্দর উপজেলার সমরক্ষেত্র মাঠে তিনি আরো বলেন, আমাদের বন্দরে যারা যখন সভা সমাবেশ করতে চাইছে আমরা করতে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি, কাউকে আটকাইনি। সবাইকে নিয়ে সভা সমাবেশ করেছি। আমার আয়োজনে এক মঞ্চে সকলকে একত্রিত করেছি। এমন কোন দল ছিলো না যারা আমার মঞ্চে ছিলেন না। অতন্ত্য দুঃখের সাথে বলছি, ২৮ তারিখ জুজুর ভয় দেখানো হচ্ছে, আপনারা এই জুজুর ভয় পাবেন না। বন্দরে অনেকই আমার সাথে মিটিং করে, আমার সাথে থেকে এখন ফনা ধরছে। এই ফনার ফনা থাকবে না কিন্তু। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলে গেলাম, বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনাকে কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। আমি যে দলই করি না কেনো, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমি হবো নাকি শামীম ওসমান হবে সেটা বিষয় না। বিষয় হলো একটাই, বঙ্গবন্ধুর কণ্যাকে দিয়ে আগামীর সরকার গড়তে হবে। এটা আপনাদের প্রত্যাকের ঈমানের অঙ্গ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর উপজেলার সমরক্ষেত্র মাঠেআওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ব্যবাসায়ী, বিভিন্ন পেশার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ সদর-বন্দর অঞ্চলের সর্বস্তরের জনগন সেলিম ওসমানকে সংবর্ধনা প্রদান কালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একবার চিন্তা করে দেখেন আপনি এই ১৫ বছরের কত উন্নয়ণ পেয়েছেন। যে জমিতে ফসল হতো না, সেই জমিতে এখন ৩ ফসল হয়। আগামীতে সেই জমিতে ৪ ফসল হবে। আজকে দেশে অভাব দেখা দিয়েছে, সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে, এক দলের চাটুকার বিদেশী শত্রু তাদের সাথে নিয়ে উতাল পাতাল করার চেষ্টা করছে। আমাদের নারায়ণগঞ্জটা জালিয়ে পুড়িয়ে খেয়ে ফেলছে। কোথায় আমাদের আদমজী, কোথায় পাটের ব্যবসা, কারা এগুলা নষ্ট করেছিলেন। যারা সরকার গঠন করেছিলেন, একবার ১৭ দিন সরকার গঠন করেছিলেন, আরেকবার নামায় দিছে পাবলিকে। অনুষ্ঠানে বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রশিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সানাউল্লাহ সানু, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিম উদ্দিন প্রধান, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ ক্লাস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহা, এনসিসিআই এর পরিচালক মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা, বাংলাদেশ হুঁশিয়ারি সমিতির সভাপতি নাজমুল আলম, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম সারোয়ার, বাংলাদেশ ডাইন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আমজাদ হোসেন খসরু, আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল। আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জের সাবেক নারী সংসদ সদস্য হোসনে আরা বাবলি, শামীম ওসমানের একমাত্র পুত্র ইমতিনান ওসমান আয়ন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ প্রমুখ।