চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘যেভাবে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ করেছে, মানুষের গাড়ি পুড়িয়েছে, তা সবাই দেখেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। তার আট বছরের শিশুকন্যার বিলাপ কান্না যারা দেখেছেন, তারা চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না। মানুষের গাড়ি কী দোষ করেছে। একটা গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া মানে একটা পরিবারকে পুড়িয়ে দেওয়ার শামিল।’
রবিবার (২৯ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া ক্লাব মাঠে উপকারভোগী সমাবেশ ও উন্নয়ন জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত গাড়ি পোড়ায়, মানুষ পোড়ায়। তারা ১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে যা করেছে, এখন তা আবার নতুন করে শুরু করেছে। আজ একটা বাস পোড়ানোর সময় ভেতরে থাকা বাসের হেলপারকেও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এসব করে তারা আবার দেশ চালাতে চায়। এভাবে যারা মানুষ ও গাড়ি পোড়ায় রাঙ্গুনিয়ার বুকে তাদের জায়গা হবে না। রাঙ্গুনিয়ায় তারা যদি নামার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের দল তাদের শায়েস্তা করবে।’
ত্রিশ বছরের বঞ্চিত রাঙ্গুনিয়া সমৃদ্ধি অর্জন করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে সারা দিন লেগে যেত। এখন দেড় ঘণ্টায় পুরো রাঙ্গুনিয়ায় ঘোরা যায়। উন্নয়নে পুরো রাঙ্গুনিয়া বদলে গেছে। রাঙ্গুনিয়ায় আগে যেসব বরাদ্দ হতো, তা রাউজান, ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারি নিয়ে যাওয়া হতো। এখন সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি বরাদ্দ রাঙ্গুনিয়ায় আনা হচ্ছে।’
ফিলিস্তিন ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর যেভাবে বোমা মারছে, মানুষ মারছে, শিশু মারছে, এসবের প্রতিবাদ একমাত্র শেখ হাসিনা করেছে। বিএনপি এবং জামায়াত একটি শব্দও বলেনি। বলেছে আমাদের নেত্রী, আমি এবং আমাদের দলের নেতারা। অথচ ভোট আসলে তারা কড়া মুসলমান হয়ে যায় আর হিন্দু-বৌদ্ধদের ওপর নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। দেশকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজন করার চেষ্টা করে। তারা মানুষের শত্রু। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য খালেদ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরীসহ পৌরসভার কাউন্সিলর, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply