সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত) প্রতিনিধিঃ-
শ্বশুরবাড়িতে আত্মঘাতী বধূ। খবর পেয়েই শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল প্রয়াত বধূর বাবার বাড়ির লোকজন। সেই অগ্নিকান্ডে পুড়ে মৃত্যু হল বধূর শ্বশুর – শাশুড়ির। গুরুতর আহত হলেন বধূর স্বামী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। জানা যায়, সোমবার (১৮ মার্চ) শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অংশিকা কেশরওয়ানির ঝুলন্ত দেহ। গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিয়ে হয়েছিল ২৭ বছরের অংশিকার। মৃত্যুর খবর পেয়েই শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, গত ১বছর ধরে পণের দাবিতে লাগাতার অত্যাচার চালানো হয়েছে অংশিকার উপর। সেই জন্যই চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন অংশিকা। এহেন অভিযোগের পাল্টা সুর চড়ায় অংশিকার শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা ও। সোমবার (১৮ মার্চ) রাত ১১ টায় অংশিকার মৃত্যুর খবর যায় পুলিশের কাছে। তারপর দুপক্ষের ঝামেলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে অংশিকার শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দমকল। অবশেষে রাত ৩ টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। কিন্তু ততক্ষণে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অংশিকার শ্বশুর ও শাশুড়ির। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় অংশিকার স্বামী সহ ৩জনকে। আরও ২ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। প্রয়াগরাজ সিটি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীপক ভুকের জানান, ” এক মহিলার আত্মঘাতী হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। সেই সময় তর্কতর্কির মধ্যেই আচমকা আগুন ধরিয়ে দেয় মহিলার বাবার বাড়ির সদস্যরা। পুলিশ ৫ জনকে উদ্ধার করে দমকলকে খবর দেয়। কিন্তু তার আগেই পুড়ে মৃত্যু হয় রাজেন্দ্র কেশরওয়ানি ও শোভা দেবীর।” গোটা ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ বাহিনী।
Leave a Reply