1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাবিবুর রহমান মোল্লার চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ রাজধানীর কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগে চোরাই পিকআপ সহ তিন সক্রিয় চোরাই সদস্যকে আটক করেছে কদমতলী থানা পুলিশ আজ বিশ্ব মুক্ত-গণমাধ্যম দিবস রেন্টকারের ড্রাইবার কথিত সোর্স কানকাটা জাকির যখন রিপোর্টার পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মজীবনে যা বললেন অতিরিক্ত আইজিপি-মাহবুব টঙ্গীবাড়ীতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলা পথচারীদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রাজধানী যাত্রাবাড়ী থেকে ১৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০ ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেছেন তসলিমা নাসরিন

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩
  • ১৬০ বার পঠিত

এইচ,এম,রহমাতুল্লাহ্:-নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

গত কয়েকদিন ধরে নিজের টাইমলাইনে চিকিৎসা সংক্রান্ত পোস্ট দিয়েই যাচ্ছেন ভারতে নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। ভুল চিকিৎসায় তিনি পঙ্গু হয়েছেন বলে নিজের স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৯.১৯ মিনিটে একটি পোস্ট দিয়ে তসলিমা নাসরিন এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি এই পোস্টে লিখেছেন, ‘ধিক্কার দিচ্ছি নিজেকে। ধিক্কার দিচ্ছি এতকালের আমার মেডিক্যাল জ্ঞানকে। আমাকে হাসপাতালে মিথ্যে কথা বলা হয়েছিল যে আমার হিপ বোন ভেঙ্গেছে। আমার কোনও জয়েন্ট পেইন ছিল না, জয়েন্ট ডিজিজ ছিল না। আমাকে মিথ্যে কথা বলে, ফিমার ফ্র্যাকচারের ট্রিট্মেন্টের নামে আমাকে হিপ জয়েন্ট কেটে,  ফিমার কেটে ফেলে দিয়ে আমাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ধিক্কার দিচ্ছি আমি কেন ক্রিমিনাল টিমের ট্র্যাপে  পড়লাম। আজ আমি এক্সরে রিপোর্ট দেখলাম আমার। আমার কোথাও কোনও ফ্র্যাকচার হয়নি সেদিন।’

এর আগে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে আরেকটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস লিখেছিলেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘মানুষকে বিশ্বাস করার ফল কী হতে পারে, যারা বন্ধু নয় তাদের বন্ধু ভাবার ফল কী হতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পেলাম। নিজের জীবন দিয়ে টের পেলাম।  হাসপাতালের এক ডাক্তারকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম সে বোধ হয় বন্ধু, তাকে জানিয়েছিলাম যে পড়ে গিয়েছিলাম ঘরে, এক্সরে করতে হবে। সেই বন্ধু আমাকে পাঠিয়ে দিল তার হাসপাতালের  অর্থপেডিক ডাক্তারের কাছে যিনি হিপ রিপ্লেসমেন্টের এক্সপার্ট। সেই এক্সপার্ট শুরু থেকে আমার ফিমারের সামান্য ফ্র্যাকচারের ফিক্সেশান  টিট্মেন্ট না করে আমার হিপ রিপ্লেসমেন্ট করার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। আমি বাধা দিয়েছি। তিনি বারবার এসেছেন আমাকে  কনভিন্স করতে। তিন চারজন ডাক্তারকে পাঠিয়েছেন কনভিন্স করতে। আমাকে কোনও সময় দেওয়া হয়নি  চিন্তা করতে, কারও সঙ্গে পরামর্শ করতে  বা শুভাকাংখীদের কারো সঙ্গে কথা বলতে।’

তিনি নিজেই লেখেন, যে কারণে  হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে হয় — 
তা হলো-১ যদি  জয়েন্ট রোগের  প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় ইত্যাদি  শল্য চিকিৎসা ব্যর্থ হয়
২ যখন জয়েন্ট পেইন কোনও রকম ব্যথার ওষুধে সারানো যায় না
৩ যখন জয়েন্ট  রোগের কারণে মুভমেন্ট করা সম্ভব হয় না, যখন এক পাও হাঁটা যায় না
৪ যখন জয়েন্ট সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে ক্ষয় হয়ে শেষ পর্যায়ে চলে আসে
৫ যখন জয়েন্টের তীব্র যন্ত্রণায় মানুষ কোনও কাজ করতে পারে না, ঘুমোতে পারে না। 
৬ যখন নানা রকম আর্থ্রাইটিস রোগে  জয়েন্ট  বাতিল   হয়ে যায় 
ওপরের  কারণ ছাড়া হিপ রিপ্লেসমেন্ট করতে হয় না। 
অথচ ওপরের একটি  কারণও আমার ছিল না। আমার জয়েন্টে কোনও ধরণের রোগ ছিল না। 

তিনি শেষ দিকে লেখেন, ‘জয়েন্ট আমার চমৎকার ছিল, কোনওদিন কোনও পেইন ছিল না।  যে সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাম, সেই সমস্যার ট্রিট্মেন্ট না করে ক্রমাগত মিথ্যে কথা বলে আমার শরীরের সুস্থ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না বড় ডাক্তাররা এমন ভয়াবহ ক্রাইম করতে পারেন। আর আমি জানিনা  আমারও বুদ্ধিসুদ্ধি কোথায় উবে গিয়েছিল যে এমন ক্রাইমের শিকার হতে নিজেকে দিলাম!’

সুত্র :-অনলাইন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park