1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন রায়েরবাগে চোরাই পিকআপ সহ তিন সক্রিয় চোরাই সদস্যকে আটক করেছে কদমতলী থানা পুলিশ আজ বিশ্ব মুক্ত-গণমাধ্যম দিবস রেন্টকারের ড্রাইবার কথিত সোর্স কানকাটা জাকির যখন রিপোর্টার পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মজীবনে যা বললেন অতিরিক্ত আইজিপি-মাহবুব টঙ্গীবাড়ীতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলা পথচারীদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রাজধানী যাত্রাবাড়ী থেকে ১৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০ ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি কদমতলীতে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ভোগান্তির শিকার ঐতিহ্যবাহী জলেখা বাজারের ব্যবসায়ীরা

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৩
  • ৫৯ বার পঠিত

নাসির উদ্দীন,পটুয়াখালীর গলাচিপা প্রতিনিধিঃ-

দীর্ঘ ২৩ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী জলেখা বাজারে নির্দিষ্ট কোন টলঘর না থাকায় বাধ্য হয়ে ব্যবসায়ীদেরকে সড়কের দু’পাশে বসে পণ্য বিক্রি করতে হয়। এতে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। এলাকার ব্যবসায়ীরা অচিরেই বাজারে সরকারি টলঘর স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।

সরেজমিন দেখা যায়, গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী জলেখা বজারটি বৃহৎ একটি গ্রামীণ বাজার। সপ্তাহে প্রতি সোমবার এখানে হাট বসে। গলাচিপাসহ পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ সাপ্তাহিক এই বাজারে কেনাকাটা করতে আসেন। গ্রামীণ বড় বাজার হওয়ায় প্রান্তিক কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রয়ের উদ্দ্যেশে বাজারে নিয়ে আসেন। ক্রেতা সাধারণও স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করেন। সরকার প্রতিবছর এ বাজার থেকে মোটা অংকের রাজস্ব পায়। কিন্তু বাজারটি প্রতিবছর ইজারা দেয়া হলেও বাজারের কোন সংস্কার বা উন্নয়ন হয় না। বাজারে নির্ধারিত কোন জায়গা না থাকায় ‘গাজীপুর টু হরিদেবপুর’ মহাসড়কের দু’পাশে ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে তাদের পণ্য নিয়ে বসেন। এমনকি বর্ষা মৌসুমে গরুর হাটও সড়ক দখল করে বসে। অনেক সময় ক্রেতা-বিক্রেতারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন। এছাড়া বাজারে পাবলিক টয়লেট না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতা ও স্থায়ী ব্যবসায়ীদের বাজারের পাশে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ ও বর্জ্য ফেলায় দুর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ। বাজারে বেশিরভাগ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাস্তা দখল করে বসে ব্যবসা করেন। তাদের বসার নির্ধারিত স্থান না থাকায় যে যার ইচ্ছে মতো বসে ব্যবসা করছেন। প্রতিনিয়ত বাজারে বসা নিয়ে চলছে ঝগড়া। বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের কোন ফিস শেড নেই। গরু জবাইয়ের নির্দিষ্ট কোন জায়গা বা কসাইখানা নেই। এসব নানা সমস্যার কারণে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে বিপাকে। ঐতিহ্যবাহী জলেখা বাজার থেকে সরকার প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পেলেও বাজারের কাঙ্খিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্রেতা, ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের মনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বাজারের ক্রেতা জাকারিয়া, হালেম বাদশা, নিজাম মোল্লা ও সুজন মিয়া বলেন, ‘জলেখা বাজারটি অনেক পুরাতন বাজার। আমরা ছোটবেলা থেকে কেনাকাটা করতে এখানে আসি। বাজারটি রাস্তার উপরে হওয়ায় রোদে পুড়ে বৃষ্টির দিনে বাজার করতে সমস্যা হয়।

বাজার ব্যবসায়ী আবু সাঈদ প্যাদা বলেন, ঐতিহ্যবাহী জলেখা বাজারটি জেলার বিখ্যাত একটি বাজার। বিশেষ করে গরুর বাজারের জন্য বিখ্যাত। এ বাজারে গলাচিপা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী আমতলী উপজেলার ব্যবসায়ীরা এখানে এসে ব্যবসা পরিচালনা করেন। আমরা বাজারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এ বাজারে ব্যবসা করছি। কিন্তু বাজারের কোন উন্নতি হয়না।

বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, বাজারটি দীর্ঘ দিনের অবহেলিত। বাজারের নির্দিষ্ট জায়গা, টল ঘর ও পাবলিক টয়লেট নাই। অনেক কষ্ট করে ব্যবসা করছি। জলেখা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাজারের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ চেয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও কোন ফল পাইনি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে বাজারের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, ‘জলেখা বাজার পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park