নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনে চলছে অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্য । এতে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার ত্রি ফসলী জমি। মাটি বহনকারী ড্রাম ট্রাক চলাচলে ধেবে যাচ্ছে সরকারি পাঁকা,আধা পাকা রাস্তা। কাঁচা রাস্তায় উড়ছে ধুলা-বালি। ইটের রাস্তার উপর, কোথাও রাস্তার নীচ দিয়ে বরিং করে ড্রেজার পাইপ লাইন টানায় এক দিকে নষ্ট হচ্ছে, কোটি টাকার সরকারি রাস্তা, অন্যদিকে জন ও যান চলাচলের চরম ভোগান্তিসহ কৃষি জমির মাটি কেটে পূনরায় অন্যত্র আবার কৃষি জমিই ভরাট করায় হুমকির মুখে পড়েছে তিন ফসলি জমি, রাজস্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সামনের অংশ দিয়ে ড্রেজার পাইপলাইন টেনে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে মাটি ও বালু উত্তোলন ও ভরাট করা হচ্ছে ।
স্হানীয় এলাকাবাসী জানান,কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মিরাজ স্হানীয় ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে,চালিয়ে আসছেন অবৈধ ডেজার ব্যবসা।সুরদিয়া গ্রামের মিরাজ দীর্ঘদিন ধরে কোন নিয়ম -নীতির তোয়াক্কা না করে চালিয়ে আসছেন মাটির ব্যবসা।
চকের ফসলী জমির মাটি কেটে কৃষি জমিকে বাড়ি ও পুকুরে রুপান্তরিত করা হচ্ছে,এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পার্শ্ববর্তী কৃষি জমির মালিকগণ। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান হারে সরকার ও কৃষক হারাচ্ছে কৃষি জমি। ড্রেজার পাইপ দিয়ে এলাকার বিভিন্ন ফসলি জমির মাটি কেটে একের পর এক জমি ভরাট করে গেলেও প্রভাবশালী ড্রেজার ব্যবসায়ীদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেনা এলাকাবাসী।গত
রোববার সকালে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, কাজল পুর মসজিদ এর পশ্চিম-দক্ষিণে নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার পাইপ টেনে প্রায় এক একর জমি ভরাট করা হচ্ছে। রাস্তার উপর ড্রেজার পাইপ থাকায় যান ও জন চলাচলসহ সাধারন মানুষ ব্যাপক ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
রাতের বেলা ড্রেজার ইঞ্জিনের বীকট শব্দে শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে দাবি এলাকাবাসীর।নদী থেকে দীর্ঘ ড্রেজার পাইপ লাইন স্হাপনের ফলে কৃষি জমিতে হালচাষ করাসহ কাজকর্মে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।কুকুটিয়া ইউনিয়ন সদ্য যোগদানকৃত ভূমি সহকারী মোঃ নাছির উদ্দিন বলেন,সরকারি স্বার্থ রক্ষা আমার বড় দায়িত্ব।তিনি আইন অনুযায়ী কাজ করছেন কি না খতিয়ে দেখে, উধ্বর্তন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply