1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

পিরোজপুর-২ আসনে গুরু শিষ্যের লড়াই জমে উঠেছে।

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ১০৮ বার পঠিত

কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ-

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে পি‌রোজপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস সরে দাঁড়ানোয় ১৪ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও টানা সাতবারের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পথ অনেকটাই সহজ হয়েছে। তবে তিনি তার শিষ্য মো. মহিউদ্দিন মহারাজকে একেবারেই নরম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন না। তাই এই আসনে গুরু-শিষ্যের লড়াই ভালোই জমে উঠবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা।

পিরোজপুর-২ (ভান্ডারিয়া-কাউখালী-নেছারাবাদ) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে লড়তে জেলা আওয়ামী লী‌গের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস ম‌নোনয়ন পে‌য়ে‌ছি‌লেন। কিন্তু জোট‌কে আসন ছে‌ড়ে দেয়ার কার‌নে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিন্ধান্ত মোতাবেক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে এ আসনে পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মহারাজ একমাত্র হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।

পিরোজপুর-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন মহারাজ এক সময় জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ছিলেন। ম‌হিউ‌দ্দিন মহারাজ জাতীয় পার্টির চেয়ারম‌্যান আ‌নোয়ার হো‌সেন মঞ্জুকে গুরু মানতেন। পরবর্তী‌তে তি‌নি পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বা‌চিত হ‌য়ে এলাকায় ব্যাপক জন‌প্রিয়তা অর্জন করেন এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচ‌নে গুরুর আসনে প্রতিদ্ব‌ন্দ্বিতা কর‌ছেন।

জেপির নেতারা বলেন, জেপির সাংগঠনিক সংকট নেই। তবে আসন পুনর্বিন্যাস করায় ইন্দুরকানী বাদ দিয়ে স্বরূপকাঠি অন্তর্ভুক্ত করায় সংকটে পড়তে হয়েছে। দুই উপজেলার চেয়ে বেশি ভোটার স্বরূপকাঠিতে। অথচ সেখানে জাতীয় পার্টির জেপি পরিচিত নয়। এজন্য জেপি নৌকা নিয়ে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন মহারাজের সমর্থকরা বলেন, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সব ভোট সেন্টারে এজেন্ট দেওয়ার মতো কর্মী সমর্থক খুঁজে পাবে না। স্থানীয় ভোটাররা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল মার্কায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন। তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। মহিউদ্দিন মহারাজের বিকল্প কেউ নেই বলে আমরা সাধারণ ভোটাররা মনে করি। আমরা সকলে তার বিজয়ের লক্ষ্যে মাঠে কাজ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park