স্পোর্টস ডেক্স রিপোর্টঃ-
এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান। প্রথমবার এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া নেপাল শুরুতে চাপ প্রয়োগ করলেও বাবর আজম এবং ইফতিখার আহমেদের দৃঢ়তায় তাদের সামনে পাত্তা পায়নি দলটি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দু’জনের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান তুলেছে স্বাগতিকরা।
বুধবার মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেছিলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান ও ইমাম-উল হক। ফখর প্রথম ওভারে পর পর দুই বাউন্ডারিতে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটি ধরে রাখতে পারেননি। সোমপাল কামির অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল খেলতে গিয়ে উইকেট কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৪ রানে। পরের ওভারে ১৪ বলে ৫ রানে আউট হন ইমাম-উল হক।
২৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর সেখান থেকেই লড়াই শুরু করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজম। আস্তে ধীরে ব্যাটিং করে ইনিংস মেরামতের কাজটা দারুণভাবে করেন তারা। ১০৬ বলে ৮৬ রানের জুটির পর ৪৪ রানে আউট হন রিজওয়ান। ওপেনার ইমাম-উল হকের মতো অহেতুক রান নিতে গিয়ে রান আউট হন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। এরপর চারে নামা সালমান আগা ফিরে যান দ্রুতই। নেপালি স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচানের বলে রিভার্স সুইপ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় সালমানকে তালুবন্দি করেন ভুর্টেল।
সালমান ফেরার পরের ওভারেই বাবর হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ৭২ হাফসেঞ্চুরি তোলার পর মাত্র ৩৭ বলে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। ১০৯ বলে খেলে ১০ চারে ১৯তম সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন। ইনিংসের হিসেবে এটি কোনও ব্যাটারের সবচেয়ে দ্রুততম ১৯তম সেঞ্চুরি। পাকিস্তানের অধিনায়ক ১০৪ ম্যাচ খেলে ১০২ ইনিংসে ১৯টি সেঞ্চুরি করেছেন। শেষ পর্যন্ত ১৩০ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১৫১ রানে আউট হন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
এশিয়ার দলগুলোর ওয়ানডে অধিনায়কদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি বিরাট কোহলির। ভারতের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে তার ১২টি সেঞ্চুরি রয়েছে। বাবর বুধবার সেঞ্চুরি করে ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ছুঁয়েছেন। তাদের দুজনেরই ৬টি করে সেঞ্চুরি।
বাবরের সেঞ্চুরির পর ইফতিখারও ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। ৪২তম ওভারের প্রথম বলে হাফ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ৪৩ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়ার পরই তিনি হাত খুলে খেলতে থাকেন। পরের ২৪ বলে পাকিস্তানের এই ব্যাটার তোলেন ৫০ রান। ৬৭ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ইফতিখার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। বাবর ১৫১ রানে আউট হলেও ইফতিখার ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার ৭১ বলের ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কা। তাদের ২১৪ রানের জুটিতেই ৩৪২ রানের পাহাড় গড়ে স্বাগতিক দল।
নেপালের বোলারদের মধ্যে সোমপাল কামি সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নেন করণ ছেত্রী ও সন্দ্বীপ লামিচানে।
Leave a Reply