1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
টঙ্গীবাড়ীতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর হামলা পথচারীদের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা রাজধানী যাত্রাবাড়ী থেকে ১৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১০ ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি কদমতলীতে চিকিৎসা অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ কয়রায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে খুশির ঝিলিক ময়নামতি ক্রসিং হাইওয়ে থানা আকস্মিক পরিদর্শন করলেন অতিরিক্ত ডিআইজি মো: খাইরুল আলম বিপুল পরিমাণ নকল জুস জব্দ, কারখানার মালিকের কারাদণ্ড জুরাইনে ডিএমপি ট্রাফিকের  উদ্যোগে শ্রমজীবী ও পথচারীদের  মাঝে বিশুদ্ধ  পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

ভারতের আধিপত্য গুঁড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার হেক্সা জয়

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৫৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্টঃ-

২০১১ সালে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। ১২ বছর পর আরেকটি শিরোপার খোঁজে ছিলেন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সমর্থকরাও। নীল উৎসবে শামিল হওয়ার স্বপ্নে গ্যালারি ও টিভির পর্দায় অপেক্ষা করছিলেন ভারতের সমর্থকরা। বিশ্বকাপে যে দুর্দান্ত পারফর্ম করে এসেছে ভারত, তাতে এতটুকু বিশ্বাস তো কোহলিদের ওপর রাখাই গেছে। কিন্তু সমর্থকদের প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। উড়তে থাকা ভারতকে মাটিতে নামিয়ে আনলো অস্ট্রেলিয়া। যেখানে উৎসবের রঙ হওয়ার কথা ছিল নীল, সেখানে উৎসব হলো হলুদের। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের ৬ উইকেটে হারিয়ে হেক্সা মিশন সম্পন্ন করলো অজিরা। গত জুনেও এই ভারতকে হারিয়ে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল প্যাট কামিন্সরা।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণ ক্ষমতা এক লাখ ৩২ হাজার। পুরো গ্যালারিতে সমর্থকরা ভারতের জন্য গলা ফাটাচ্ছিলেন। বিচ্ছিন্নভাবে হাজার খানেক অস্ট্রেলিয়ান সমর্থক থাকলেও তাদের খুঁজে পাওয়া যেন খড়ের গাদায় সুই খোঁজার মতোই অবস্থা। বিপুল পরিমাণ দর্শকের সমর্থন নিয়েও ভারত নিজেদের তৃতীয় শিরোপা ছুঁতে পারলো না। ম্যাচের শুরু থেকে গ্যালারিতে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস-আনন্দ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। বিশেষ করে রোহিত আউট হতেই পুরো গ্যালারি নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আগের দিন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স হুঙ্কার দিয়েছিলেন দর্শকদের চুপ করিয়ে দেবেন। ফাইনালের মঞ্চে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সত্যিকার অর্থেই ভারতীয় দর্শকদের চুপ করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

সিরাজের বলে মিড উইকেটে চার মেরে ষষ্ঠ শিরোপা ছোঁয়ার আনন্দে মাতে অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথরা দৌড়ে মাঠে ঢোকেন। জয়ের নায়ক অজি ওপেনার ট্র্যাভিস হেডকে নিয়ে উৎসবে মাতে পুরো দল। অন্যদিকে ভারত শিবিরে উল্টোচিত্র। সিরাজ-রাহুল তো কান্নায় ভেঙে পড়েন। রোহিত, কোহলি বহু কষ্টে কান্না চেপে রেখেছিলেন। দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলে অপরাজিত হয়ে ফাইনালে ওঠা দলটি এভাবে বিধ্বস্ত হবে, ভাবতে পারেননি কেউই। তবে গ্যালারির দর্শকরা প্রিয় দলটির পাশে ছিলেন। এমন হারের পরও গ্যালারিতে কোহলিদের জন্য হাততালি ছিল। তবু চাপা কষ্ট নিয়েই আরও চারটি বছর অপেক্ষায় থাকতে হবে ভারতকে। ততদিন রোহিত-কোহলিরা থাকবেন তো ভারতীয় দলে?

২০০৩ বিশ্বকাপে রিকি পন্টিংয়ের অস্ট্রেলিয়ার কাছেই শিরোপা হারিয়েছিল ভারত। প্রত্যাশা ছিল এক যুগ আগের ক্ষতে প্রলেপ দেওয়ার। কিন্তু সেটি হয়নি। ২০০৩ সালের মতো ২০২৩ সালেও অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে ভারতকে। অথচ পুরো টুর্নামেন্টেই প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগই দেয়নি তারা। টানা দশ ম্যাচ জিতে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতেই এসে হারতে হলো রোহিতের দলকে। প্রতিটি ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিং করে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছিল ভারত। অথচ ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলের ব্যাটিং লাইনআপ অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে খেই হারিয়েছে। কৃতিত্ব অস্ট্রেলিয়াকে দিতেই হবে। জশ হ্যাজেলউড-মিচেল স্টার্ক-কামিন্সরা দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভারতকে চেপে ধরে। পাশাপাশি ফিল্ডিংও ছিল দারুণ। গ্রাউন্ড ফিল্ডিং থেকে শুরু করে ক্যাচিং, সবকিছুইতে সেরা মানের ছিল অস্ট্রেলিয়ানরা। গ্রাউন্ডস ফিল্ডিংয়ে কম করে হলেও ১০টি বাউন্ডারি রুখে দেন অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডাররা।

রবিবার টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ভারতের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। শুরুতে শুবমান গিল ফিরলেও ১০ ওভারের মধ্যে রোহিত-কোহলির দারুণ কম্বিনেশনে ভারত তুলে ফেলে ৮০ রান। এরপর হেডের দুর্দান্ত ক্যাচে রোহিত সাজঘরে ফিরতেই রানের চাকা থেমে যেতে থাকে। চতুর্থ উইকেটে স্লো ব্যাটিংয়ে ১০৯ বলে কোহলি ও লোকেশ রাহুল ৬৭ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কামিন্সের নিরীহ একটি বলে বোল্ড হন চলতি আসরে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া কোহলি (৫৪)। কোহলি আউট হতেই পুরো গ্যালারি নিস্তব্ধ, কামিন্স তখন উড়ছেন! এরপর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে রাহুল ৬৬ রানে ফিরলে ভারতের বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা ফিকে হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ভারত ২৪১ রানের লক্ষ্য দিতে পারে।

আহমেদাবাদের উইকেটে এই লক্ষ্য অস্ট্রেলিয়ার জন্য কঠিন হওয়ার কথা নয়। তারপরও দুই প্রান্ত থেকে শুরু করে দুই পেসার যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ শামির দারুণ বোলিংয়ে ৪৭ রানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তবে চমৎকার ক্যাচ নিয়ে রোহিতকে ফেরানো হেড ফাইনালের মঞ্চে হয়ে উঠেন ভয়ংকর। এক যুগ পর ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরির দেখে পেলেন কোনও ব্যাটার। সর্বশেষ ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার মহেলা জয়াবর্ধনে। রবিবার এই তালিকায় নিজের নাম তুলে ফেললেন হেড। সব মিলিয়ে ফাইনালে এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। তার এই সেঞ্চুরিতে অজিরা অনায়াসেই হেক্সা মিশন শেষ করে। জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ১৩৭ রানে আউট হন হেড। ১২০ বলে ১৫ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান অজিদের শিরোপা জয়ের এই নায়ক। এই বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ কিছু ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছেন হেড। গুরুত্বপূর্ণ ফাইনালেও এমন ইনিংস না এলে অস্ট্রেলিয়ার হেক্সা মিশনের অপেক্ষাটা আরও দীর্ঘই হতো।

আরেকটা কথা না বললেই নয়, ২০১১ সাল থেকে চালু হওয়া হোম টিমের ট্রফি জয়ের প্রথাও ভেঙে দিলো অস্ট্রেলিয়া। এই আসরের আগে ২০০৭ সালে সবশেষ আয়োজক দেশের বাইরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কোনও দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজে সেবার ট্রফি জিতেছিল অস্ট্রেলিয়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park