মোক্তার হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
দক্ষিণ উপকুলীয় জনপদের উন্নয়নে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে, সমৃদ্ধ কয়রা – পাইকগাছা গড়তে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা – দারিদ্র্য শোষণমুক্ত সোনার বাংলা নির্মাণে শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশ নেওয়ার
জন্য খুলনা ৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ রশীদুজ্জামান বলেন, জলমহল কিনে কৃষকের কাছে পানি বিক্রি করা যাবে না।উপজেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। কৃষকদের কৃষি কাজের সুবিধার জন্য সরকার খাল খনন করেছেন,সেই খালে মাছ চাষিরা মাছ চাষের জন্য সরকার থেকে ইজারা গ্রহণ করে কৃষকদের ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিঘা প্রতি দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে পানি বিক্রি করছেন,এটা করা যাবে না। খালের পানি কৃষকদের কাছে বিক্রি করে টাকা গ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংসদ সদস্য আরো বলেন,কয়রা উপজেলার সর্ব দক্ষিণের দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ এলাকা। এখানে টেকসই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় প্রতিবছর ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়। নতুন করে ওয়াপদা বাঁধ নির্মাণ করতে হলে কৃষকদের জমির উপর দিয়েই করতে হয়। আইনের বিধান অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহন করে মৌজা রেটের তিন গুণ কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কৃষকদের একটি টাকাও দেওয়া হয় না। কৃষকরা রিক্ত নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করে। সংসদ বলেন ভূমি অধিগ্রহণের এই টাকা কোথায় যায় কারা ভোগ করে , এখন থেকে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে ওয়াপদা বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
সংসদ রশীদুজ্জামান আরো বলেন দক্ষিণ বেদকাশীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৪০০ বিঘা জমিতে নতুন করে একটি খাল সৃষ্টি হয়েছে। এই খালের জমির মালিকদের হারির টাকা না দিয়ে,অবৈধ দখলদার মাছ ধরে নিয়ে যায়। জমির মালিকের হারির টাকা না দিয়ে আর ওই খাল দখল করা যাবে না। জোর করে মাছ ধরা হলে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারী কমিশনার ভূমি, উপজেলা চেয়ারম্যান কয়রা উপজেলা, ওসি কয়রা থানা সহ সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে সংসদ সদস্য কে অবগত করানোর জন্য অনুরোধ করেন।
Leave a Reply