1. admin@dailypratidinerbarta.com : admin :
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৮:১০ অপরাহ্ন

একই পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার! এলাকায় চাঞ্চল্য

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

সুজন চক্রবর্তী, আসাম ( ভারত)প্রতিনিধিঃ-

ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল একই পরিবারের ৪ জনের মৃতদেহ। রবিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের দুর্গাপুরের কুরুড়িয়া ডাঙা এলাকার ঘটনা। অমিত মন্ডল (৪০), তাঁর স্ত্রী রুপা, ১০ বছরের ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। এদিন সকালে ৪ জনেরই মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। রুপার মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, হোয়াটসঅ‍্যাপে আমাদের একটা ফ‍্যামিলি গ্রুপ আছে। সেখানে জামাইবাবু শনিবার রাতে তাঁর মা, বোন, মায়ের বাপের বাড়ির কয়েকজনের জন‍্য পরিবার শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। কেন অমিত এসব লেখেন? সুদীপ্তার দাবি, অমিতের মা অমিতের পরিবারকে পছন্দ করতেন না। তিনি নিজের বাপের বাড়ির লোকজন ও অমিতের বোনকে পছন্দ করতেন। অমিতের সম্পত্তির উপর নজর ছিল সবার। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ কেউ করতেই পারেন। কিন্তু তদন্তে যা পাওয়া যাবে সেভাবেই মামলা এগিয়ে যাবে। অমিত ছিলেন একজন জমি ব‍্যবসায়ী। তার মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ও প্রশান্ত নায়েক ও জমি ব‍্যবসায়ী বলে ওই হোয়াটসঅ‍্যাপ মেসেজে লিখেছিলেন অমিত। সেখানে তিনি অভিযোগ করে ছিলেন, বিভিন্ন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেআইনিভাবে জমির লেনদেন করে বিপুল সম্পত্তি করেছেন প্রশান্ত নায়েক ও সুশান্ত নায়েক। সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছেন সুশান্ত নায়েক। ওই মেসেজে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ও সিবিআইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথাও লিখেছিলেন অমিত। এমনই দাবি বোন সুদীপ্তার। সুদীপ্তা দেবীর আরও অভিযোগ, দাদার হাত গামছা দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল। বাড়ির সিসিটিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। শনিবার রাতে বুলারানী মন্ডল এই বাড়িতেই ছিলেন। বুলারানী আবার নিজের ছেলে ও তাঁর পরিবারকে কখনও ভাল চোখে দেখতেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গোটা ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। এদিন সকালে দুর্গাপুরের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলন পল্লিতে একই পরিবারের ৪ সদস‍্যের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেখা যায়, পরিবারের কর্তা অমিত মন্ডলের ২ হাত দেহের সঙ্গে গামছা দিয়ে বাঁধা। আর এই অমিতের হোয়াটসঅ‍্যাপ মেসেজ, ফেসবুক পোস্ট ঘিরেই রহস্য বেড়েছে। সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে মদত রয়েছে অমিতের মা বুলারানী মন্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টুর। দাদা জানতে পেয়ে যায় যে মামার বাড়ির পরিবারের বেশ কয়েকজন ২০১২ সালে টেট পাস না করে ও চাকরি পেয়েছিল। এমনই কথা দাদা আমাকে হোয়াটসঅ‍্যাপ মারফত লিখে জানায়। তারপরই এদিন ভোরে এই ঘটনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ © দৈনিক প্রতিদিনের বার্তা ©
Theme Customized By Shakil IT Park